About us

বিশ্বনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু তথ্য

অতীত ও বর্তমান,বিশ্বনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজঃ অতীত ও বর্তমান,মোঃ শফিকুল ইসলামঅধ্যক্ষশিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড। মেরুদন্ডহীন প্রাণী যেমন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোন জাতী অজ্ঞনান্ধতা ও কুসংস্কারের মায়াজাল ছিন্ন করে উন্নতি ও অগ্রগতির নতুন সোপান উন্নতি হতে পারে না। মানুষের আশা আকাঙ্খা ও স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ রুপে প্রকাশ করতে এবং নৈতিক উন্নতি ও বুদ্ধি বৃত্তির উৎকর্ষ সাধন করতে শিক্ষার প্রয়োজন। অথচ বৃটিশ শাসন আমলে তথা পাকিস্থান শাসন আমলে এদেশের মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো জালিয়ে মানুষকে শিক্ষা দিক্ষায় পরিপূর্ণতা এনে দেওয়ার কোন বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মুষ্টিমেয় শহর কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতি অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীই লেখা-পড়ার সুযোগ পেত। পরাধিন দেশের অধিকাংশ লোকই অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে থাকে। শুধু তাই নয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের ২৩ বৎসর পরে ও আমাদের বরেন্দ্র অঞ্চলের অশিক্ষিত জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষার সুমহান আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মত কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির সাথে সাথে অত্র এলাকার ছেলে মেয়েরা শিক্ষার সুমহান আলো থেকে চিরদিনের মত বঞ্চিত হয়ে যেত। ফলে অজ্ঞতা ও অজ্ঞানতার শক্তিশালী শেকড় গেড়ে বসেছিল এতদ অঞ্চলের প্রতিটি আনাচে কানাচে ও রন্ধ্রে-রন্ধ্রে পরাধীন অন্ধকারাচ্ছন্ন্ মানুষ ভূলে গিয়েছিল। উন্নতি অগ্রগতি তথা মুক্তির অভিষ্ট লক্ষ। এহেন পরিস্থিতিতে জ্ঞানহীন মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো জ্বালাতে এবং দেশ ও জাতীকে একটি সঠিক ও বাস্তব দিক নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাধীন ২নং মোহনপুর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের বিশ্বনাথপুর গ্রামের গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে জনাব মোঃ কোসিমুদ্দীনসহ কতিপয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির ঐকান্তিক ইচ্ছায় ও প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালে ২০ ডিসেম্বর শুভ সূচনা হয় বিশ্বনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রথম অবস্থায় নিচে বাঁশের চাটাই উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে মাত্র ০৩ (তিন) টি ঘর নিয়ে গোড়াপত্তন হয় বিদ্যালয়টির। ০১/১/১৯৯৫ সাল হতে বিদ্যালয়টি ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত স্বীকৃতি লাভ করে। ০১/১/১৯৯৬ সাল হতে ৯ম, ০১/১/১৯৯৭ সাল হতে ১০ম শ্রেণীর এবং ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণীতে মানবিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি প্রাপ্ত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী হতে মে থেকে অর্ধেক বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ হিসাবে শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিত আছে।অত্র উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। স সমস্ত ব্যক্তি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন, তিনারা হলেন জনাব সাঃ কোসিমুদ্দীন, মো: শরিয়তুল্লাহ মৃত: আলাম উদ্দীন, মৃতঃ মনসুর রহমান, সর্ব সাং বিশ্বনাথপুর, মোঃ ফজলুর রহমান, মোঃ নূরুল ইসলাম, উভয় সাং দিঘা, মৃত নৈমুদ্দীন মন্ডল, সাং- আইহাই রাহী, মৃতঃ নৈমুদ্দীন মন্ডল, সাং সাহপানিয়া। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম  করে যারা বিদ্যালয়টিকে বাস্তবমুখী করেছেন তাদের মধ্যে জনাব মোঃ সাঈদুর রহমান (চেয়ারম্যান), মোঃ কায়েস উদ্দীন, সাং-পঁচা, মো: কারবান আলী, সাং নশিদানপুর, মো: মনিমুল হক অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান জমির পরিমান ১.০৮ (এক একর আট শতাংশ)। তার মধ্যে .৮১ শতাংশ দান সূত্রে পাওয়া বাকী .২৭ শতাংশ জমি স্থানীয় জন সাধারণের দানের টাকায় ক্রয় কৃত।
শিক্ষক মন্ডলীঃ অত্র প্রতিষ্ঠানটি সুযোগ্য সুশিক্ষিতি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত। সরকারি বিধি মোতাবেক এখানে আছেন একজন অধ্যক্ষ, একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১১ (এগার জন) বিষয় ভিত্তিক প্রভাষক ও ০৯ (নয়) জন বিষয় ভিত্তিক সহকারী শিক্ষক। এছাড়াও এখানে আছেন একজন লাইব্রেরীয়ান, ০৩ (তিন) জন অফিস সহকারী ও ০৪ (চার) জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী।
শ্রেণি ও ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা: অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে মানবিক ও বিজ্ঞান, বিভাগ, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু আছে। অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে “কৃষি শিক্ষা” ও কম্পিউটার শিক্ষা” বিষয় চালু আছে।
* বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা…………… জন।
* বিদ্যালয় ভবন: বিদ্যালয়টিতে …………..টি কক্ষ আছে।গ্রন্থাগার:  ঐতিহ্যবাহী বিশ্বনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গ্রন্থাগারে প্রায় ৩০০০ (তিন হাজার) খানা বিভিন্ন ধরনের পুস্তক আছে। একজন গ্রন্থগারিকের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রী সহ স্থানীয় জন সাধারণ নিয়মিতভাবে বইপত্র পড়ার সুযোগ পেয়ে আসছে। সে সাথে গ্রন্থাগারে রয়েছে দৈনিক পত্রিকা, সাময়িক পত্রিকা ও কম্পিউটার শেখার সুযোগ। খেলা-ধুলা: লেখাপড়ার পাশাপাশি এখানে আন্ত কক্ষ ও বহিরাঙ্গ খেলাধুলার বিশেষ র্চচা রয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীরা বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহণ করে কৃতিত্তের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এখানে যেমন শিক্ষার শুনাম আছে, খেলা-ধুলার ক্ষেত্রেও তেমনি রয়েছে দক্ষ পদচারণা। প্রতি বছরই বেশ জাঁকজমকের সাথে এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে অত্র প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
প্রাত্যহিক সমাবেশ: অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত প্রাত্যহিক সমাবেশ হয়। একজন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষার মাধ্যমে প্রাত্যহিক সমাবেশ পরিচালিত হয়। প্রতিকুল আবহাওয়ার প্রেক্ষিত্রে বাইরে সমাবেশ করা সম্ভব না হলে নিজ নিজ শ্রেণি কক্ষের বারান্দরায় পাঠদান শুরু হওয়ার পূর্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পোশাক: শিক্ষার্থীর মাঝে নিয়ম শৃংখরা বজায় রাখার জন্য পোশাকের ব্যবস্থা আছে। ছাত্ররা সাদা জামা ও কালো রং এর ফুলপ্যান্ট এবং ছাত্রীরা সবুজ জামা, সাদা পায়জামা ও সাদা ওড়না পরিধান করে প্রতিষ্ঠানে আসে।
সহশিক্ষা ক্রমিক কার্যাবলী: শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানষিক প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর জন্য কর্ম দিবসের প্রতি বৃহস্পতিবার সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলীর চর্চা করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঃ জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়।
স্কাউউট ও সালাম গাইড: শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বোধ ও সেবার মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য গার্লস গাইড  দল পরিচালিত হয়।

পরীক্ষা পদ্ধতি: সরকারী বিধি মোতাবেক অর্ধ বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশিত হয়।

SSC ও JSC পরীক্ষার অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর প্রতিবছরই প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের বিগত বছর সমূহের SSC ও JSC.

সমস্যাবলী: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আর্থিক দৈন্য দশায় জর্জরিত। বিধায় সাধ থেকেও সাধ্যের অভাবে কাঙ্খিত লক্ষে পেঁছাতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম।
এখানে প্রতিষ্ঠানের কিছু সমস্যা তুলে ধরা হলো:কক্ষ সমস্যা: প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ সহকারী প্রধান শিক্ষকদ্বয়ের পৃথক কক্ষ, শ্রেণি কক্ষ, অফিস কক্ষ, বিজ্ঞানাগার, ছেলে মেয়েদের পৃথক পৃথক কমনরুম, গ্রন্থাগার পৃথক সমস্যার কক্ষ সহ মোট ১০টি শ্রেণি কক্ষের বিশেষ প্রয়োজন যা দৈনন্দিন কার্যক্রমকে বাধা গ্রস্থ করছে।
হলরুম: বিদ্যালয়টিতে, প্রতিষ্ঠানটিতে কোন হলরুম মিলনায়তনা না থাকায় যে কোন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ প্যন্ডেল তৈরির কোন বিকল্প থাকে না তাই অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে একটি হলরুম/মিলনায়তনের বিশেষ প্রয়োজন যা বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা সদর থেকে ২৪ কিঃমিঃ দুরে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি সীমিত সম্পদ, স্বল্প সংখ্যক শ্রেণি কক্ষ এবং অপ্রতুল আসবাবপত্র, দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধা গ্রস্থ করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনসাধারণ সহ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গের নিকট আবেদন রাখছি, তারা প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে সচেষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ।

 

মো: শফিকুল ইসলাম

অধ্যক্ষ

বিশ্বনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

দিগরাম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।